বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে। শনিবার (৩ মে) ১৩১ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে, ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ১৩ নভেম্বর পুলিশ বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক রায়ে বলা হয়, আসামিরা শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে, যা সমাজে ভয়াবহ বার্তা দেয়। এই ধরনের অপরাধ দমন করতে কঠোর শাস্তি প্রয়োজন।

এই রায়ের মাধ্যমে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হলো। তবে আসামিরা আপিল বিভাগে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।