২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে চলেছে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের জন্য অতিরিক্ত শর্ত চাপিয়ে দিলে বাংলাদেশ সরে আসবে।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট বিষয়ক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ যদি অতিরিক্ত শর্ত দেয়, তবে বাংলাদেশ আর এই ঋণ নিতে আগ্রহী থাকবে না। কারণ সব শর্ত মানতে গেলে দেশের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা তার আগে সরকারের প্রতি কৃষি খাতে বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের আহ্বান জানান।
তারা পোল্ট্রি খাতে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট হ্রাস, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি ও প্রণোদনার সুযোগ বাড়ানোরও সুপারিশ করেন।
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ-এর সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ায় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে ।