১০ মাসে রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল, এপ্রিলে বড় ধাক্কা
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪০ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।
তবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার, যা চলতি অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের বছরের এপ্রিল মাসে এই আয় ছিল ২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মার্চ মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, ফলে এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাক খাত রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। এই খাত থেকে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা মার্চ মাসের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ৯৩ কোটি ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে কৃষি, কেমিক্যাল পণ্য এবং রাবারের রপ্তানি কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি ও শিল্প খাতে চলমান গ্যাস সংকট এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে ধসের প্রধান কারণ। তৈরি পোশাকসহ বেশিরভাগ কারখানা এক থেকে দেড় সপ্তাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৪-২৭ মেয়াদে দেশের রপ্তানি আয় ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের রপ্তানি সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকলেও এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে ধস উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবেলায় উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি।