বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা কমে আসার ইঙ্গিতে বিনিয়োগকারীরা ডলারমুখী হয়েছেন। ফেডারেল রিজার্ভও সুদের হার কমাতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না বরং জুনে হার কমার সম্ভাবনা ৫৫ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১৭ শতাংশে। এই ইতিবাচক আবহে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদেও ফিরেছে আগ্রহ, ফলে বিটকয়েন আবার ১ লাখ ডলারের ওপরে উঠে এসেছে।
ইউরো সাপ্তাহিক হিসেবে ০.৬ শতাংশ কমে এখন ১.১২১৭ ডলারে। ইয়েন এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৪৬.১৮ ছুঁয়ে এখন ১৪৫.৭৮-এ। পাউন্ড চুক্তির পরও পিছিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ১.৩২২০ ডলারে এসে ঠেকেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ডলারও দুর্বল। অজি ডলার ০.৬৩৯১ ডলার এবং কিউই ডলার ০.৫৮৯২ ডলারে নেমে এসেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড হার কমালেও যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও নরওয়ে হার অপরিবর্তিত রেখেছে। ফলে জুনে ফেডারেল রিজার্ভের হার কমানোর সম্ভাবনা কমে এখন মাত্র ১৭ শতাংশে ঠেকেছে, যেখানে এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ৫৫ শতাংশ।
এদিকে, তাইওয়ান ডলারের শক্তিশালী উত্থানে কিছু এশিয়ান মুদ্রার বিপরীতে ডলার দুর্বল ছিল। সিঙ্গাপুর ডলার এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে, হংকং ডলার কিছুটা পিছিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে। এই মুহূর্তে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তেই নির্ভর করছে মুদ্রাবাজারের পরবর্তী গতি।