চীনের খরা ও শান্তির বার্তায় শিকাগোতে সয়াবিন-ভুট্টার ঝাঁকুনি
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শান্তির সুবাতাস বইছে, এই আশায় শুক্রবার (৯ মে) শিকাগো শস্যবাজারে নতুন গতি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য বাণিজ্য আলোচনা, চীনের খরা পরিস্থিতি এবং মার্কিন কৃষিপণ্যের শক্তিশালী রপ্তানিকে ঘিরে বিশ্ববাজারে আবারও সক্রিয় হয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শুল্ক উত্তেজনা কাটিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে শনিবার (১০ মে) মুখোমুখি হচ্ছেন দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তারা। এরই প্রভাবে সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা হয়েছে সয়াবিনের বাজার। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সবচেয়ে সক্রিয় চুক্তিটি ০.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি বুশেল ১০.৪৯ ডলারে।
ভুট্টার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি বুশেল ৪.৫৩ ডলারে, যা আগের দিনের ছয় সপ্তাহের সর্বনিম্ন দামের পর উল্লেখযোগ্য ঘুরে দাঁড়ানো। একইসঙ্গে, গমের দরও ০.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫.৩২ ১/২ ডলার-চীনের খরার শঙ্কা ও আমদানি সম্ভাবনার কারণে।
বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু হুইটলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির পর সবাই তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দিকে। যদি তারা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে, তাহলে কৃষিপণ্যের জন্য আবার বড় বাজার খুলে যাবে।’
বিশ্বের গম উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র চীনের হেনান প্রদেশে গত সপ্তাহে জারি হয়েছে খরার সতর্কতা। গরম ও শুষ্ক বাতাসে ফসল বিপন্ন হওয়ায় দেশটি আন্তর্জাতিক বাজারে গম আমদানির দিকে ঝুঁকতে পারে বলে ধারণা করছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকায় আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস গ্রেইন এক্সচেঞ্জ বৃহস্পতিবার জানায়, ২০২৪–২৫ মৌসুমে সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস ৪৮.৬ থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন করা হয়েছে, যা উন্নত ফলনের ফল।
সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে সোমবার প্রকাশিতব্য মার্কিন কৃষি বিভাগ ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) বিশ্ব ফসল প্রতিবেদন। প্রথমবারের মতো এতে ২০২৫–২৬ মৌসুমের সরবরাহ ও চাহিদার পূর্ণ চিত্র তুলে ধরা হবে, যা বাজারের দিক নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।