"কুয়েট ক্যাম্পাসে গভীর শোক, পুকুরে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীর প্রাণহানি"
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ক্যাম্পাসে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক শিক্ষার্থী, সান্তনু কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে নেমে সান্তনু কর্মকার নিখোঁজ হয়ে যান।
তিনি ২৩ ব্যাচের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং পুরান ঢাকার কর্মকার পাড়ার সুকুমার চন্দ্র কর্মকার ও শিল্পী কর্মকারের ছেলে।
নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, সান্তনু তার বন্ধুদের সঙ্গে জাহান আলী হল-সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নেমেছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর, তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি। এর পর, খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ৫ মিনিটের মধ্যে সান্তনুর অচেতন দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, "পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি।"
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, সান্তনুর মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, সান্তনু কর্মকারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং ঘটনাটির যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।