কিছু খাবার নিয়মিত খেলে কমতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি!
ক্যানসারের একটি বড় কারণ জিনে নিহিত ঠিকই, কিন্তু রোজ কী খাবার খাচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধবে কি না!
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস থেকে যেমন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে, তেমনই কিছু খাবার নিয়মিত খেলে, তা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্যও করতে পারে শরীরকে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চের বার্ষিক বৈঠকে (২০২৫) এ কথা জানিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ক্লিনিক্যাল এপিডেমিয়োলজি এবং পুষ্টি সংক্রান্ত চিকিৎসক মিংগ্যাং সং। তিনি বলছেন, ‘‘গত কয়েক দশকে আমরা দেখেছি, অতি প্রক্রিয়াজাত বা আলট্রা প্রসেসড খাবারে কারসিনোজেন (ক্যানসারের অন্যতম কারণ)থাকে। তেমনই আমরা এ-ও দেখেছি, কিছু পুষ্টিকর খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও পারে।’’
কোন কোন খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে?
সং জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, তাজা ফল, শাক-সব্জি, দানাশস্য, বাদাম জাতীয় খাবার পরিমাণ মতো নিয়ম করে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমেছে। তিনি বলছেন, কিছু কিছু গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত দই খেলেও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। উল্টো দিকে বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়েছে।
কী ভাবে খাদ্যাভ্যাস বদলাবেন?
দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস চট করে পুরোপুরি বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তবে খাদ্যাভ্যাস বদলালে যদি দুরারোগ্য ক্যানসার দূরে থাকে, তবে চেষ্টা করতেই হবে। রোজ যা খান, তাতে ছোট ছোট বদল এনে বিষয়টি সম্ভব।
১। পাঁঠার মাংস বা অন্যান্য রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ, সালামি, বেকন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তার বদলে উদ্ভিজ প্রোটিন খান। যেমন, ডাল, বিন জাতীয় দানাশস্য, টোফু, মাশরুম খেতে পারেন।
২। ময়দাও অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার। ময়দা থেকে তৈরি খাবার যেমন পাউরুটি, পাস্তা, নুডল্সের বদলে ওটস, ডালিয়া, লাল আটা, ব্রাউন রাইস খান।
৩। চিপস, বাইরের তেলে ভাজা খাবার বা প্যাকেটজাত ভাজাভুজির বদলে বাদাম, বীজ, শস্য, ফল খেতে পারেন।
৪। নিয়মিত রঙিন সব্জি এবং শাকপাতা রাখার চেষ্টা করুন খাদ্যতালিকায়।
৫। চিনি বেশি রয়েছে, এমন পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন। বদলে গ্রিন টি, লেবুর জল, ডাবের জল খেতে পারেন।