যেসব পরিবর্তন আনলে চুল পড়া কমবে
চুলের সমস্যা নিয়ে প্রায় সবাই কমবেশি চিন্তিত থাকেন। মাথার চুল ঝরে যাওয়া কেউই মেনে নিতে চান না। ঘন, কালো, মসৃণ চুলের আকাঙ্ক্ষা থাকে সকলের। এই কারণে অনেকেই পার্লারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নেন বা ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেন। তবু অনেকের ক্ষেত্রেই চুল পড়ার সমস্যা থেকে যায়, এবং সময়ের সঙ্গে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
তবে শুধুমাত্র বাহ্যিক যত্নেই চুল পড়া পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন জীবনধারায় পরিবর্তন আনা।
চুলের ঘনত্ব ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাছ, মাংস, ডাল, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়া বাদাম ও নানা ধরনের শস্যও প্রোটিনে ভরপুর। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব রাখা জরুরি।
পানি পান করা চুলের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত পানি শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে, মাথার ত্বকও সজীব থাকে, ফলে চুল রুক্ষ হয় না এবং চুলের ডগা ফাটার আশঙ্কাও কমে যায়।
চুলে নিয়মিত তেল মালিশ করাও অত্যন্ত উপকারী। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের ফলিকল মজবুত হয়, যার ফলে চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজায়।
চুলে অতিরিক্ত হিট ব্যবহার করা যেমন হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লার চুলের ক্ষতি করে। এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল বেশি ঝরে যায় এবং ডগা ফেটে যায়। তাই এসব যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করাই ভালো।
অনেকেই প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন, যা সবসময় উপকারী নয়। চুলে তেল ব্যবহার করলে সপ্তাহে দুই-তিন দিন শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল উঠে গিয়ে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে।