ভালো থাকতে চান? মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী এই আটটি অভ্যাস এড়িয়ে চলুন
সুখী মানুষদের কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস থাকে, যা তাদের মানসিক প্রশান্তি এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে। তবে মনোবিজ্ঞান বলছে, কিছু সন্ধ্যার অভ্যাস রয়েছে যা মানুষকে সেই সুখ থেকে বঞ্চিত করে রাখতে পারে। নিচে এমন ৮টি সন্ধ্যার অভ্যাস তুলে ধরা হলো যা সত্যিকার সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
১. অতীত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা
যখন মানুষ অতীতের ভুল বা নেতিবাচক ঘটনা নিয়ে বারবার ভাবে, তখন তার মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বর্তমান থেকে মনোযোগ সরে যায় এবং ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক কোনো প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
২. নিজের যত্ন না নেওয়া
নিজের জন্য সময় না রাখা বা সেলফ-কেয়ারকে অবহেলা করলে ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তি বাড়ে। প্রতিদিন কিছুটা সময় শুধুমাত্র নিজের ভালো থাকার জন্য ব্যয় করা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
৩. শরীরচর্চা বাদ দেওয়া
সন্ধ্যার সময়ে হালকা হাঁটা, ব্যায়াম বা নাচ-গানের মতো শরীরচর্চা মন ভালো রাখতে সহায়ক। এগুলো আনন্দদায়ক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. নিজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রাখা
নিজেকে ছোট করে দেখা বা অতিরিক্ত সমালোচনা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে মানসিক অবসাদ ডেকে আনতে পারে। বরং নিজেকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা ও মূল্যায়ন করা উচিত।
৫. প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকা
দিন শেষে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে সময় না কাটানো বা কথা না বলার ফলে একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতার অনুভব বাড়ে। পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা পোষা প্রাণীর সান্নিধ্যও মন ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. বিশৃঙ্খল পরিবেশে থাকা
গোছানো পরিবেশ না থাকলে তা মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ মানসিক স্বস্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৭. দেরি করে ঘুমানো
পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম না হলে শরীর ও মন উভয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। রাত জেগে থাকার অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে উদ্বেগ ও হতাশা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৮. নিজের শখ ও আগ্রহ থেকে দূরে থাকা
ব্যক্তিগত আগ্রহ বা সৃষ্টিশীল কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা জীবনের প্রতি আগ্রহ হারানোর কারণ হতে পারে। প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রিয় কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা মন ভালো রাখতে সহায়ক।
এই সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করলেই জীবনে শান্তি ও আনন্দের মাত্রা অনেকটা বাড়ানো সম্ভব। বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সহজ হয়ে যায়।