দেশে ওষুধ বিক্রির ৩৫ শতাংশই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের
ঢাকা শহরের ফার্মেসিগুলোর চিত্র বলছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তেজগাঁওয়ের মা ফার্মেসি ও ইনসাফ ফার্মেসির মতো দোকানগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিনছেন। দোকানিদের ভাষ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ প্রেসক্রিপশনে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ থাকে। ঔষধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ওষুধ বিক্রির ৩৫ শতাংশই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ।
চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, এই অতিরিক্ত সেবন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে । এছাড়া, দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের কারণে পাকস্থলী ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো রোগ হতে পারে। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।”
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে প্রথমে জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা উচিত। খাবারের সময়সূচি ঠিক রাখা, স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা—এই অভ্যাসগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।