৫ বিয়ে, মৃত্যুর ২ দিন পর উদ্ধার বলিউড ভিলেনের দেহ

সংগৃহীত

অভিনেতা মহেশ আনন্দ, যিনি একসময় দুর্ধর্ষ ভিলেন হিসেবে পর্দা কাঁপিয়েছিলেন, জীবনের শেষ পর্যায়ে পড়েছিলেন করুণ পরিস্থিতিতে। ‘সানাম তেরি কাসাম’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রথম পা রাখেন তিনি, যদিও তখন তিনি ছিলেন ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার। ১৯৮৪ সালে ‘কারিশ্মা’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে সুযোগ পান, এরপর শুরু হয় তার মডেলিং কেরিয়ার।

কারাটেতে ব্ল্যাক বেল্টধারী মহেশের লম্বা চুল আর ঘন গোঁফ ছিল তার বিশেষ চিহ্ন। শুরুতে নায়ক হতে চাইলেও প্রযোজকরা তাকে ভিলেনের চরিত্রে কাস্ট করতে শুরু করেন, আর তাতে তার কোনও আপত্তি ছিল না।

তার প্রথম দুই ছবির প্রযোজক বরখা রায়, যিনি অভিনেত্রী রীনা রায়ের বোন। বরখার সঙ্গেই প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মহেশ, পরে তারা বিয়ে করেন, কিন্তু সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়। এরপর এরিকা মারিয়ার সঙ্গে বিয়ে করে এক সন্তানের পিতা হন, কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকে না। পরে মধু মালহোত্রা ও ঊষা বাচানির সঙ্গেও বিয়ে করেন, কিন্তু কোনওটিই স্থায়ী হয়নি। শেষমেশ এক রাশিয়ান নারী লানার সঙ্গে বিয়ে করেন।

তবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ধীরে ধীরে তার জীবন জটিল হয়ে ওঠে। বলিউডের নিষ্ঠুর বাস্তবতায় কাজের সুযোগও কমতে থাকে। একসময় শহরের এক পানশালায় অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান মহেশ, কারণ শোনা যায় তিনি একদল নারীর উদ্দেশে কুমন্তব্য করেছিলেন, যা অক্ষয় মেনে নিতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ না পেয়ে মহেশের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও কঠিন হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ, এবং ময়নাতদন্তে জানা যায়, তিনি দু’দিন আগেই মারা গিয়েছিলেন। তার ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে ছিল খাবার আর মদের বোতল। মৃত্যুর রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। দুঃখজনকভাবে, মৃত্যুর পর পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ তার মরদেহ নিতে আসেনি।