পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মরতে রাজি নই: বাঁধনের সাহসী উচ্চারণ

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে তার দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, কিন্তু আমি সেখানে মরতে রাজি নই। আমি এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ। আমি এমন ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, যেখানে প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা—যা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই"

এই পোস্টের পেছনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাঁধন জানান, এটি তার হঠাৎ কোনো উপলব্ধি নয়, বরং বহুদিনের ভাবনা। তিনি বলেন, "এমন সমাজেই কিন্তু আমরা বসবাস করি। বড় হয়েছি। এ ধরনের পরিবারে আমি বেড়ে উঠেছি। এমন নয় যে আমার পরিবার খুবই প্রোগ্রেসিভ চিন্তাভাবনার। আমার পরিবারও পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একটা অংশ"

বাঁধন আরও বলেন, আমাদের চারপাশে সামাজিক ও আইনি প্রতিবন্ধকতা প্রচুর রয়েছে, যা দূর করতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, "রাষ্ট্রের উচিত, সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখানো। এরপর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা সম্পূরক"

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে অনেকে বাজে ও কুৎসিত মন্তব্য করেন। তবে তিনি মন্তব্যের ঘর বন্ধ করেন না, কারণ তিনি মনে করেন, "আমরা কোন সমাজব্যবস্থায় বাস করি, সেটার একটা প্রতিপলন এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। মানুষ কী চিন্তা করছে, প্রকাশ্যে বলতে না পেরে অনেকে ফেক আইডি দিয়ে ফেসবুকে লিখছে। মানুষের প্রতি বিদ্বেষ, বিশেষ করে নারীর প্রতি বিদ্বেষ সেটি প্রকাশ করছে"

বাঁধনের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার উদ্রেক করেছে।