তুলসী বহু প্রাচীনকাল থেকেই ঘরোয়া চিকিৎসায় একটি নির্ভরযোগ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন কাঁচা তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। চলুন, তুলসী পাতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাগুণ নতুনভাবে জেনে নেওয়া যাক:

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: তুলসীতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

সর্দি-কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা কমায়: এর অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ঠান্ডা, কাশি এবং শ্বাসনালির সমস্যা প্রশমনে কার্যকর।

হজমে সহায়তা করে: নিয়মিত কাঁচা তুলসী পাতা খাওয়ায় হজমের উন্নতি হয়, এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে এবং শরীর পুষ্টি উপাদান ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে: তুলসীর অ্যাডাপ্টোজেনিক গুণ শরীরকে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে, ফলে মনও থাকে শান্ত।

ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে: তুলসী রক্ত পরিশোধন করে ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক ফিরে পায় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

মুখ ও দাঁতের যত্নে উপকারী: তুলসী পাতা চিবালে মুখের জীবাণু দূর হয়, মাড়ির সংক্রমণ কমে এবং মুখের দুর্গন্ধ হ্রাস পায়।

বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরকে বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।

প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা খাওয়া শরীর ও মন দুটোকেই ভালো রাখতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।