অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিড়ালের মতো রূপ পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা তরুণীর
অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টের ২৯ বছর বয়সী কনটেন্ট ক্রিয়েটর জোলিন ডসন বিড়ালের মতো দেখতে হওয়ার জন্য প্রায় ৮,০০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬.৬ লাখ টাকা) খরচ করে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিবর্তন এখন তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কী কী অস্ত্রোপচার করেছিলেন?
জোলিন নাকের ছিদ্র বড় করা, গালের হাড় তীক্ষ্ণ করা এবং 'বার্ব থ্রেডিং' নামক একটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, এই পরিবর্তনগুলো 'রিভার্সিবল' অর্থাৎ সহজেই পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে, অস্ত্রোপচারের পর তার শরীর প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। ফিলারগুলো তার মুখের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়, যার ফলে তীব্র ব্যথা, ক্ষত এবং মুখের নিচের অংশের গঠন পরিবর্তিত হয়। এছাড়া, থ্রেড সরানোর চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি নিজেই ক্ষত সৃষ্টি করেন।
কেন করেছিলেন এমন সিদ্ধান্ত?
জোলিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি বিড়ালের মতো দেখতে হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করাননি; বরং এটি ছিল একটি পাবলিসিটি স্টান্ট। তিনি জানান, "এটি সবই মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ছিল। আমি কখনোই বিড়াল হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করিনি।" তিনি আরও বলেন, "আমি জানতাম না যে, এই অস্ত্রোপচারের পর আমার মুখে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।"
পরবর্তীতে কী করেছেন?
অস্ত্রোপচারের পর জোলিন তার সমস্ত ফিলার এবং থ্রেড অপসারণ করেছেন। বর্তমানে তিনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ হতে থেরাপি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, "এটি একটি বোকামি ছিল, এবং আমি জানি না কেন আমি এটি করেছি।" তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেছেন, "যদি আপনি অস্ত্রোপচারের কথা ভাবেন, তবে সঠিক কারণে করুন, অন্যথায় এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।"
এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, এবং অনেকেই জোলিনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে, তিনি তার ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।