অ্যাসিডিটি কমাতে চান? বাদ দিন এই অভ্যাসগুলো

ছবি: সংগৃহীত

অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যা বেশ সাধারণ হলেও এর জন্য কিছু অভ্যাসের কারণে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আপনি সঠিকভাবে যেসব বদভ্যাসের কথা উল্লেখ করেছেন, তা আসলে অনেক মানুষই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু এগুলোর কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে এবং এতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন, একটু বিস্তারিত জানি কেন এসব অভ্যাস বদহজম বা অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ায়:

  1. সকালের নাশতা না করা:
    সকালের নাশতা না করার কারণে দিনের প্রথমে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নাশতা না করার কারণে রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে, যা বদহজমের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি, সকালে সকালের খাবার গ্রহণে হজম সিস্টেমের কার্যক্রম শুরু হয়, ফলে পুরো দিনের জন্য শরীরের বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে চলে।

  2. রাতে ভাজাভুজি খাওয়া:
    রাতের খাবারের সময় শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, তাই ভারী বা ভাজাভুজি খাবার খেলে তা সঠিকভাবে হজম হতে পারে না। এর ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং টক্সিন জমে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাতের খাবার হালকা ও সহজে হজমযোগ্য হওয়া উচিত, যেমন স্যালাড, স্যুপ বা ভাত-ডাল।

  3. দুটি ভারী খাবারের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি:
    দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা হজমের জন্য খারাপ। খাবারের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি রাখলে শরীর অস্বস্তি অনুভব করতে পারে এবং এতে বদহজম বা পেট ফাঁপা হতে পারে। নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত, যাতে শরীর ঠিকমতো পুষ্টি পায় এবং বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে চলে।

  4. খাবারে ফাইবার না রাখা:
    ফাইবার শরীরের হজম ব্যবস্থাকে সমর্থন করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। শাক-সবজি, ফলমূল, ডাল, ছোলা ইত্যাদির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। খাবারে ফাইবারের অভাব হলে হজমের সমস্যা বাড়ে এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

  5. খাওয়ার পর পর ঘুমানো:
    খাবার খাওয়ার পর কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া উচিত, কিন্তু ঘুমানো নয়। খাবার খাওয়ার পর শরীরকে হজমের জন্য সময় দিতে হয়। ঘুমানোর কারণে হজমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি বা হালকা কিছু করলেই হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

এগুলোর পাশাপাশি, পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করা, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু পরিমাণে শিথিলতা বা মেডিটেশনও উপকারী হতে পারে।

আপনার কথা অনুযায়ী, যদি এসব অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়, তাহলে অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।