পিঁপড়াকে রান্নাঘরের অন্যতম বিরক্তিকর উপদ্রব হিসেবে ধরা হয়। হুটহাট কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই ওরা ঘাঁটি গেড়ে বসে রান্নাঘরের নানা কোণে। কারণ, চিনির দানা, খাবারের ছোট টুকরো, দুধ বা চায়ের ফোঁটা, বিস্কুটের গুঁড়ো—এসব সহজেই মেলে রান্নাঘরেই। ফলে প্রতিদিনই যেন ওদের উৎসব চলে সেখানে। বাজারে পিঁপড়া দূর করার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিক পণ্য পাওয়া যায়, কিন্তু এসবের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক ও নিরাপদ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে পিঁপড়ার উৎপাত থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

লেবুর রস:

লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পিঁপড়ার জন্য বিষের মতো কাজ করে। এক স্প্রে বোতলে পানি ও পাতিলেবু বা কমলালেবুর রস মিশিয়ে সংরক্ষণ করুন। পিঁপড়া দেখা মাত্রই সেখানে স্প্রে করুন। এছাড়া যেসব জায়গা থেকে পিঁপড়ার আনাগোনা বেশি, সেখানে লেবুর রস বা খোসা রেখে দিন। ঘর মোছার সময়ও পানিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন—উপকার মিলবে দ্রুত।

লবণ:

গরম পানিতে কয়েক টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি স্প্রে বোতলে ভরে পিঁপড়ার চলাফেরার জায়গায় ছিটিয়ে দিন। পিঁপড়া ওই স্থান এড়িয়ে চলবে।

তেজপাতা:

তেজপাতার তীব্র গন্ধ পিঁপড়া সহ্য করতে পারে না। পিঁপড়ার গতিপথে কয়েকটি তেজপাতা রেখে দিন, এতে তাদের চলাফেরা ব্যাহত হবে।

দারুচিনির গুঁড়ো:

যেসব জায়গায় পিঁপড়ার আনাগোনা বেশি, সেখানে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এর ঘ্রাণ পিঁপড়াকে দূরে রাখে।

সাদা ভিনিগার:

পিঁপড়া সাদা ভিনিগারের গন্ধ অপছন্দ করে। সমপরিমাণ পানি ও ভিনিগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের কোণায় কোণায় ছিটিয়ে দিন। এতে পিঁপড়ারা সেদিকে আর ঘেঁষবে না।

চক, পাউডার ও ময়দা:

চকের গুঁড়ো বা বেবি পাউডার পানিতে মিশিয়ে ঘরের দেয়াল বা কোণায় লাগিয়ে দিন। এছাড়া ময়দা বা ট্যালকম পাউডার লাইন করে ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়া সেই রেখা পার হতে পারে না।