সৌদি আরবের ঐতিহাসিক শহর জেদ্দার পুরোনো অংশ আল-বালাদ এখন নতুন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের আওতায় এই অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যে রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।

 
২০১৪ সালে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে আল-বালাদে প্রায় ৬৫০টি ঐতিহাসিক ভবনের সংস্কার শুরু হয়েছে। এই ভবনগুলোতে এখন ক্যাফে, হস্তশিল্পের দোকান ও পর্যটক সেবাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করছে।

 
সম্প্রতি আল-বালাদে তিনটি ঐতিহ্যবাহী হোটেল—বেইত জোখদার, বেইত আল-রাইয়েস ও বেইত কেদওয়ান—উদ্বোধন করা হয়েছে। এই হোটেলগুলো ঐতিহাসিক ভবন সংস্কার করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। 

 
সৌদি সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ কোটি পর্যটক আকর্ষণ করা। এই লক্ষ্যে আল-বালাদে ৯,৩০০টি আবাসিক ইউনিট, ১,৮০০টি হোটেল ইউনিট এবং ১৩ লাখ বর্গমিটার বাণিজ্যিক ও অফিস স্পেস গড়ে তোলা হচ্ছে।

 
আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ড্রোন ও ৩ডি স্ক্যানিং, ব্যবহার করে ঐতিহাসিক ভবনগুলোর সঠিক নথিপত্র তৈরি ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। Arab News

 
আল-বালাদ এখন শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক স্থান নয়, বরং এটি সৌদি আরবের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আধুনিক পর্যটনের এক অনন্য মেলবন্ধন। এই অঞ্চলের পুনর্জাগরণ শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে।
এই উদ্যোগগুলো সৌদি আরবের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের প্রতিফলন, যা ভবিষ্যতে দেশের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।