ওবায়দুল কাদেরকে চায় না আওয়ামী লীগ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। ওই দিন থেকে এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি। শুধু দলের সভাপতি নয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বা প্রভাবশালী নেতাদের অনেকেই এখন ভারতে।

বিভিন্ন তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় ‘আড্ডা’ দিতে বা দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতার নিউটাউন আবাসিক এলাকার অভিজাত কমপ্লেক্স ‘রোজডেল গার্ডেন’ এ উপস্থিত হচ্ছে। ‘রোজডেল গার্ডেন’ এখন তাদের ‘কার্যালয়ে’ পরিণত হয়েছে। সেখানে বসেই সাজানো হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার মহাপরিকল্পনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতেও তারা যাবতীয় ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন এই ভবনে বসে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রী অনেকেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো সংসার পেতেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজডেল গার্ডেনের তিন নম্বর অ্যাকশন এরিয়ার দুই নম্বর টাওয়ারের ১১ তলার ১১-সি ফ্ল্যাটে বর্তমানে বসবাস করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নিউটাউনের এই অভিজাত ফ্ল্যাটে স্ত্রী, মেয়ে এবং জামাতাকে নিয়ে থাকছেন শেখ হাসিনার অন্যতম আস্থাভাজন সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ওই ভবনেরই নিচ তলায় আরো একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়েছেন তিনি। যেটি কার্যত এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কলকাতায় অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ-সদস্যের ব্যবস্থা করে দেওয়া নিউটাউন এলাকার একটি ফ্লাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকছেন তিনি। তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। ভারতে অবস্থান করা নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কলকাতায় সেই (অস্থায়ী দলীয় অফিসের মতো) জায়গায় নিয়মিত মিলিত হন। সেখানেও ওবায়দুল কাদেরকে দেখা যায় না বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তাছাড়া দলটির একাধির সূত্র বলছে, দল আর ওবায়দুল কাদেরকে চায় না। ৫ আগস্ট এর আগেই থেকেই তারা দলের এই পরিস্থিতির জন্য কাদেরকে দুষছেন।