যে কারণে আটকে গেল জামায়াতের নিবন্ধন
জুলাই-আগস্টে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের আট মাস পার হলেও এখনও আপিল বিভাগে ঝুলছে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলা।বাংলাদেশ জামায়াতের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
শিশির মনির বলেছেন, জামায়াতের নিবদ্ধন মামলাটি একটা সার্টিফিকেটের আপিল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে সার্টিফিকেটের আপিল হয়েছে। এই সার্টিফিকেটের আপিল মানেই সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত। যেহেতু সার্টিফিকেটের আপিল। তাই সার্টিফিকেটের আপিলটা পূর্ণাঙ্গভাবে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরুও হয়েছে। শুরু হওয়ার একপর্যায়ে যারা মূলত এই মামলার অপরপক্ষ ছিলেন তাদের যিনি আইনজীবী ছিলেন তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তাদের একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে তারাও সময় নিয়েছেন আইনজীবী আসবেন কিনা। পরবর্তীতে প্রশ্ন এসে দাঁড়াল শুনানি হবে কিনা। না আসলেও শুনানি হবে। না আসলে শুনানি শুরুও হয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি শেষ হয়ে গেছে শুনানি।
‘এই সময় একজন বিচারপতি দুর্ঘটনার শিকার হয়। যিনি এই মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তার অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। এই অ্যাক্সিডেন্টের কারণে প্রায় একমাস আদালতে আসতে পারেননি।’
তিনি বলেন, কোর্ট খুলবে ২০ তারিখ। ২০ তারিখ খুললে আপিল মামলার শুনানি হয় প্রতি মঙ্গলবার এবং বুধবার। অর্থাৎ ২২, ২৩ এই সময়ে এই মামলাগুলোর শুনানি শুরু হবে এবং দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করেন জামায়াতের এই আইনজীবী।
এ বিষয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন গুলোতে অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত জামায়াতের ৫৫ জন জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৫০ জন পুরুষ ৫ জন নারী সদস্য বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, নিবন্ধন পাওয়া দেরি হওয়া নিয়ে আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে বেদনার। আমরা আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাবো। আমরা মনে করি এটা আইন এবং সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী তো এদেশের মানুষের ভালোবাসা সমর্থন নিয়ে রাজেনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছেন। অবশ্যই এসব বিষয়গুলো আদালতের সামনে আছে। আমরা আশা করি আইনানুগ পন্থায় আমাদের অধিকার ফিরে পাব।