কাশ্মীর সীমান্তে টানা ৫ রাত গোলাগুলি

ছবি: সংগৃহীত

পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর টানা পাঁচরাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাতেও এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

বরাবরের মতো ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পঞ্চম রাতের মতো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনারা। আজ সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উসকানির জবাব তারা সংযত ও কার্যকর ভাবে দিয়েছে।

সূত্র জানায়, এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে কাশ্মিরের কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিপরীত এলাকায় এবং আখনূর সেক্টরের কাছে।

পাকিস্তানি সেনারা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এলওসি-র বিভিন্ন ভারতীয় চৌকিতে একাধিকবার গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে দু’দেশ সত্যিই যুদ্ধে জড়াবে কি না- তার আভাসের জন্য আগামী দু’তিন দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ। তিনি দেশবাসীকে এ ইস্যুতে মানসিকভাবে ‘প্রস্তুত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে প্রদান করা এক সাক্ষাৎকারে ‘ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী দু’-তিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সত্যিই কিছু ঘটে কিংবা শুরু হয়, তাহলে আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে তা হবে; আর যদি এই সময়সীমার মধ্যে কিছু না ঘটে- তাহলে বুঝে নিতে হবে যে একটি বড় বিপদ আমরা এড়াতে পেরেছি।’