অন্যদিকে ইসলামাবাদ পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তান: প্রস্তুতি চলছে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি
খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রয়েছে এবং যদি আমাদের অস্তিত্বের প্রতি সরাসরি হুমকি আসে, তবে আমরা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করব।’ পরে, তিনি সামা টিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘একটি স্পষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে আমরা আগামী এক, দুই, তিন অথবা চার দিনের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারি আমরা।’
তবে পরবর্তীতে তিনি এই মন্তব্যগুলো আরো পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমাকে যুদ্ধের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল, তাই আমি বলেছিলাম যে পরবর্তী দুই থেকে তিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ তিনি আবারও উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধের আশঙ্কা থাকলেও তা পরবর্তী কিছু দিনে এড়ানো সম্ভব, কারণ অঞ্চলটির অন্যান্য দেশগুলো উত্তেজনা কমানোর জন্য কাজ করছে।
বিদেশি মিত্রদের সহায়তা
এদিকে পাকিস্তান তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো, যেমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ও চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছে। খাজা আসিফ বলেন, ‘আমাদের কিছু বন্ধু আরব উপদ্বীপের দেশগুলো দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইশাক দার গত সপ্তাহে চীন, সৌদি আরব, ইরান ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তারা উভয় দেশকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিদেশি প্রতিক্রিয়া
চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও কাতারও এই পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়া জিয়াকুন বলেছেন, ‘চীন আশা করে যে উভয় পক্ষই সংযম দেখাবে এবং তাদের সমস্যাগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করবে, যাতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রও এই পরিস্থিতি মনিটর করছে এবং দুই দেশের মধ্যে একটি ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ভারত ও পাকিস্তান সমস্যা সমাধান করবে।
কাতারের সহায়তা
পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইশাক দার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। দুই নেতা পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এই উত্তেজনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একযোগে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র : ডন