ট্রাম্পের চাওয়া পূরণ: ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদে মার্কিন বিনিয়োগ ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। এই চুক্তিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল, যা ইউক্রেনের পুনর্গঠন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু
-
প্রবেশাধিকার: যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ যেমন লিথিয়াম, গ্রাফাইট, টাইটানিয়াম, ইউরেনিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনে অংশ নিতে পারবে।
-
পুনর্গঠন তহবিল: উভয় দেশ একটি যৌথ বিনিয়োগ তহবিল গঠন করবে, যা ইউক্রেনের যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
-
সার্বভৌমত্ব: চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেন তার ভূগর্ভস্থ সম্পদের উপর পূর্ণ সার্বভৌমত্ব বজায় রাখবে এবং উত্তোলন প্রক্রিয়া নির্ধারণে স্বাধীন থাকবে।
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চীনের প্রভাব কমিয়ে এনে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। চীন বর্তমানে বিশ্বের ৯০% বিরল খনিজ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা এআই প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অপরিহার্য।
চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তার প্রতিদানে খনিজ সম্পদের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দেন, যা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীতে, উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয়, যা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিশ্চিত করে।
এই চুক্তি ইউক্রেনের জন্য অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত সম্পদের নিরাপদ উৎস নিশ্চিত করে।