তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বৈসরনে হামলার দিন শুধু তিন জঙ্গিই নয়, হামলাস্থলের আশপাশে আত্মগোপন করে ছিল অতিরিক্ত জঙ্গি। হামলার সময় যদি নিরাপত্তাবাহিনী চলে আসত, তাদের প্রত্যাঘাতের জবাব দেওয়ার জন্য এবং হামলাকারী জঙ্গিদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘ব্যাক আপ’ হিসাবে কাজ করত তারা। যাতে তাদের উপস্থিতি আর কেউ টের না পান, তাই হামলাকারী জঙ্গিদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল অতিরিক্ত ওই জঙ্গিরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
এনআইএ সূত্রের দাবি, পহেলগাঁওয়ে হামলায় জড়িত জঙ্গিরা পালাতে পারেনি। তারা দক্ষিণ কাশ্মীরেই আত্মগোপন করে আছে। তবে ওই অঞ্চলে আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি। পাহাড়ি জঙ্গলে যাতে আরও অনেক দিন ধরে লুকিয়ে থাকা যায়, তার জন্য নিজেদের সঙ্গে খাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীও বহন করছে হামলাকারী জঙ্গি দলটি। স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিদের পক্ষে এত দিনের খাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই সহযোগিতা কারা পৌঁছে দিচ্ছেন, সেই সূত্রেরও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা।
এনআইএ সূত্রে খবর, হামলার পর জঙ্গিরা পার্কের বাঁ দিকের বেড়া টপকে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। হামলার সময় জঙ্গিরা উচ্চ নিরাপত্তার যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালাচ্ছিল। যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনও সিম কার্ড লাগে না। কী কথোপকথন হচ্ছে তা-ও চিহ্নিত করা যায় না। এনআইএ সূত্রে খবর, বৈসরন উপত্যকায় তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। তার মধ্যে দু’টি ফোনের সিগন্যাল চিহ্নিত করা গিয়েছে। হামলার ঘটনার তদন্তে সন্দেহের তালিকায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ রয়েছেন। তার মধ্যে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন ১৮৬ জন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।