ইউক্রেনের খনিজের প্রতি কেন এত লোভ যুক্তরাষ্ট্রের, জানা গেল কারণ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খনিজ, তেল ও গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদে যৌথভাবে প্রবেশাধিকার পাবে আমেরিকা। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল অর্থনৈতিক চুক্তি নয়—এটি রাজনৈতিক বার্তাও বয়ে আনছে।

চুক্তির সাতটি মূল দিকের মধ্যে প্রথমেই আসে—যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন কোনো অর্থ ফেরত দিতে হবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেয়েছিলেন $৩৫০ বিলিয়নের সহায়তা ফেরত, কিন্তু বর্তমান চুক্তিতে সে দাবি রাখা হয়নি।

চুক্তিতে ইউক্রেনের সম্পদ ইউক্রেনের মালিকানায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র পাবে যৌথ সুবিধা—বিশেষ করে খনিজ, তেল ও গ্যাস প্রকল্পে। আগের খসড়ায় যা ছিল না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার ইউক্রেনের ইচ্ছাকেও সম্মান করা হয়েছে এই চুক্তিতে।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রথম ১০ বছর যুক্তরাষ্ট্র যে মুনাফা পাবে তা পূর্ণভাবে ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ব্যয় হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এই চুক্তি সামরিক সহায়তার ইঙ্গিত দিলেও, কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়নি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ভবিষ্যতে চুক্তি থেকে সরে আসতেও পারে।

এই চুক্তি কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা নিশ্চিত, আমেরিকা এখন ইউক্রেনের খনিজে বেশ ‘আগ্রহী’।