ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় আমেরিকার নজর কিসের ইঙ্গিত!

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পহেলগামে মর্মান্তিক হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যখন কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে, তখন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দু'পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এই বার্তা দিয়েছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা এখন জরুরি।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার পৃথকভাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি উভয় দেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

ভারত দাবি করেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের হাত আছে, যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। এরই মধ্যে ভারত পাকিস্তানি বিমান চলাচলের জন্য আকাশপথ বন্ধ করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে। পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে এবং ১৯৭২ সালের শান্তি চুক্তিও স্থগিত করেছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের কাছে ভারতীয় সামরিক হামলার সম্ভাব্য হুমকির বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ভারত যদিও এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

পহেলগাম হামলার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে "সময়, লক্ষ্য ও পদ্ধতি" বেছে নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে। হামলাটি বিগত দুই দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা মূলত হিন্দু পুরুষদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই প্রতিবেশী দেশকে সংযম দেখানোর এবং তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় এবং কূটনৈতিক প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।