ইসরায়েলের বিমান হামলা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটে
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটবর্তী একটি স্থাপনায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে এই হামলা চালানো হয়, যা শুক্রবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেছেন। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এই হামলা সিরিয়ার শাসকদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা, এবং দক্ষিণ দামেস্কে বাহিনী মোতায়েন বা দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি হুমকি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না ।
এই হামলার পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং সরকারপন্থী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, দামেস্কের উপকণ্ঠে সানায়া ও জারামানায় সংঘর্ষে ডজনখানেক লোক নিহত হয়েছে ।
ইসরায়েল এই হামলাকে "সতর্কবার্তা" হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী নেতৃত্বের প্রতি একটি কঠোর বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরায়েল দক্ষিণ দামেস্কে সিরিয়ার বাহিনী মোতায়েন মেনে নেবে না এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেবে ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলাটি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটবর্তী একটি স্থানে ঘটেছে, তবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা শেখ হিকমাত আল-হিজরি এই হামলাকে "অযৌক্তিক গণহত্যামূলক আক্রমণ" হিসেবে নিন্দা করেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জটিলতা ও বিভক্তিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।