পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে, দাবি করে যে ভিসা বাতিলের মাধ্যমে ভারত মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হঠাৎ করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ইস্যুকৃত ভিসা বাতিল করায় চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া অনেক রোগী চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই গুরুতর অবস্থায় ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়াও, ভিসা বাতিলের ফলে বহু পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের পর্যন্ত তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এই ঘটনার পর, ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করে, ভারতীয় নাগরিকদের (শিখ তীর্থযাত্রী ছাড়া) ভিসা বাতিল করে এবং সীমান্তের নিজ অংশ বন্ধ করে দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয়, তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। তারা আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান ভবিষ্যতেও তাদের নাগরিকদের ফেরাতে ওয়াঘা সীমান্ত উন্মুক্ত রাখবে।

এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে এই সংকটের সমাধান করা যায় এবং মানবিক বিপর্যয় এড়ানো যায়।