ভারতকে 'তীব্র ও প্রতিশোধমূলক' জবাবের হুঁশিয়ারি

পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, ভারত যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তারা 'তীব্র ও প্রতিশোধমূলক' জবাব দেবে। এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ২ মে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত একটি জরুরি সামরিক বৈঠকে, যেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এই বৈঠকের পটভূমিতে রয়েছে ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে; উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ এবং বাণিজ্য স্থগিত করেছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বলেন যে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট থাকলেও, যদি ভারত যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তান প্রতিক্রিয়ায় শুধু প্রতিশোধই নেবে না, এমন জবাব দেবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ভারতের কোনো সামরিক পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এই উত্তেজনা আরও বাড়ে না এবং আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকে।