গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার (৩ মে) অন্তত ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা এবং আনাদোলু সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই হামলাগুলোর ফলে গাজার মোট মৃতের সংখ্যা ৫২,৫০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১১৮,৩৬৬ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে, বেসামরিক এলাকায় হামলার কারণে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন। গাজা শহর, খান ইউনিস, বেইত লাহিয়া এবং বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুরেইজে একটি তাবুতে আশ্রয় নেওয়া তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।