'প্যালেস্টাইন-২' ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনের হামলা, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন অধ্যায়
ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে প্রতিরোধের নতুন অধ্যায় শুরু
ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদে সরাসরি প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেন। সর্বশেষ, শনিবার ইসরায়েলের দখলকৃত ইয়াফা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক স্থাপনায় শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।
ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের উন্নত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। তিনি বলেন, “গাজার নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং ইসরায়েল ও তাদের মার্কিন মিত্রদের দ্বারা চালানো অপরাধের প্রতিশোধ নিতে আমরা এই হামলা চালিয়েছি।”
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের বাহিনী দখলকৃত ইয়াফার দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এটি শুধুমাত্র একটি সামরিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থান—একটি প্রতিরোধ।”
ইয়াহিয়া সারি আরও স্পষ্ট করে দেন, যতদিন না গাজায় আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে এবং ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন ইয়েমেন তাদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’-এর মাধ্যমে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ শুরু হয়, তার পর থেকেই ইয়েমেন ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পক্ষে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিচ্ছে। ইসরায়েলের একাধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে এটি ইয়েমেনের আরেকটি জোরালো পদক্ষেপ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক প্রতিরোধ জোট আরও সংগঠিত ও প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম হয়ে উঠছে।