পর্তুগালে ১৮ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা

পর্তুগালের অন্তর্বর্তী সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১৮ হাজার বিদেশিকে বিতাড়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো। 

এক বিবৃতিতে আজ শনিবার (৩ মে) আন্তোনিও জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রায় ১৮,০০০ নোটিশ ইস্যু করে সংশ্লিষ্টদের দেশ ছাড়তে বলা হবে।’

মন্ত্রী আরও জানান, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রথম পর্যায়ে অবৈধভাবে আসা প্রায় ৪,৫০০ বিদেশিকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের জন্য ২০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়া শুরু হবে স্বেচ্ছা প্রস্থান নোটিশের মাধ্যমে, যা অবৈধ অভিবাসীদের সরাসরি পাঠানো হবে।

সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে যখন ১৮ মে দেশটিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

চলতি বছরের মার্চে সংসদে অনাস্থা ভোটে সংখ্যালঘু সরকার পরাজিত হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো নির্বাচন আহ্বান করেন। তিনি রক্ষণশীল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছেন।

ইউরোপ জুড়ে জাতীয়তাবাদ ও জনতাবাদী রাজনীতির উত্থানের ছায়া পর্তুগালেও পড়েছে।

দেশটির কট্টর ডানপন্থী দল ‘চেগা’ গত নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে চমক সৃষ্টি করে। 

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন ইস্যু এখন পর্তুগালের জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই নির্বাচনের আগেই এই বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে দেশটির বর্তমান সরকার।