ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের প্রস্তুতি হিসেবে লক্ষাধিক রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (৩ মে) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই ব্যাপক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেয়, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে অন্যতম বৃহৎ মোতায়েন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই রিজার্ভ সেনাদের একটি অংশ গাজা সীমান্তে মোতায়েন করা হবে, যেখানে বর্তমানে নিয়মিত সেনারা অবস্থান করছে। অন্য অংশগুলো লেবানন, সিরিয়া ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে মোতায়েন করা হবে, যাতে গাজায় মোতায়েনকৃত সেনাদের স্থান পূরণ করা যায়।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রোববার গাজা অভিযানের সম্প্রসারণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে হামাসের হাতে থাকা ২৪ জন জীবিত জিম্মির মুক্তির লক্ষ্যে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন। গাজার মিডিয়া অফিসের মতে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদের ধরলে মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি জিম্মি করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েল গাজার ওপর ভয়াবহ সামরিক অভিযান ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলের এই নতুন সেনা মোতায়েন এবং সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।