বিশ্বের প্রথম মানুষহীন এআই হাসপাতাল!
ধরুন, আপনি হাসপাতালে গেছেন। রিসেপশন নেই, নার্স নেই, ডাক্তার নেই। শুধু একটা স্ক্রিন। সেখানে ভেসে উঠছে প্রশ্ন—‘আপনার কী সমস্যা?’ আপনি বললেন, গলা ব্যথা। মুহূর্তেই স্ক্রিনে বিশ্লেষণ। সম্ভাব্য রোগ, পরীক্ষার পরামর্শ আর প্রেসক্রিপশন। আপনার এই রোগের চিকিৎসক রক্তে-মাংসে গড়া কোনো মানুষ নন—চিকিৎসা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ এআই-চালিত হাসপাতাল চালু করেছে চীন, যার নাম এজেন্ট হাসপাতাল। এটি তৈরি করেছে বেইজিংয়ের সিনহুয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
ইরানি বার্তাসংস্থা মেহের জানিয়েছে, এআই হাসপাতাল চালুর মাধ্যমে চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গ্রহণের দিক থেকে বিশাল অগ্রগতি ঘটিয়েছে। এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টো ইকোসিস্টেমেও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে—বিশেষ করে যেসব প্রকল্প এআই উদ্ভাবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চালুকৃত এই হাসপাতালে কাজ করছে ১৪ জন এআই চিকিৎসক এবং ৪ জন এআই নার্স। এরা প্রতিদিন ৩,০০০ রোগীকে সেবা দিতে পারে, যা একটি বড় আকারের হাসপাতালের সক্ষমতার কাছাকাছি। এই এআই চিকিৎসকেরা শুধু রোগ শনাক্ত করছে না—তারা ডায়াগনোসিস করছে, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান সাজাচ্ছে, ফলো-আপ পর্যন্ত দিচ্ছে। এমনকি, এদের মধ্যে কেউ কেউ ইউএস মেডিকেল লাইসেন্সিং পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ স্কোর করেছে!
এই হাসপাতাল চালুর ঘোষণায় প্রযুক্তিবিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। ঘোষণার পরপরই শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়—এআই-ক্রিপ্টো টোকেন মার্কেটেও শুরু হয় জোয়ার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজেন্ট হাসপাতাল কেবল চিকিৎসার গতি ও নির্ভুলতাই বাড়াবে না, বরং খরচ কমাবে, সময় বাঁচাবে, এবং দেশের পর দেশ স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বড় বিপ্লব ঘটাবে।
ভাবুন, যে প্রযুক্তি মানুষের মতো চিকিৎসা দিতে পারে—তাকে আর কতদিন সহকারী বলা যাবে? তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—রোগীর অনুভূতি, আবেগ, ভয় বা ভরসার জায়গাগুলো এআই বুঝবে কী করে?
গবেষকরা বলছেন, মানুষ ও এআই মিলেই হবে ভবিষ্যতের চিকিৎসা। যেখানে প্রযুক্তি দেবে গতি ও নির্ভুলতা, আর মানুষ দেবে সহানুভূতি ও সিদ্ধান্ত।