অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরাতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অনিবন্ধিত অভিবাসীদের স্বদেশে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে নতুন একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘সিবিপি হোম’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে অভিবাসীরা আগাম জানালে, বিমানভাড়া সহ সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার পর্যন্ত ভ্রমণ সহায়তা দেওয়া হবে বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস)।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টি নোম বলেছেন, “যদি আপনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তবে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়া হলো এই দেশ ত্যাগের সবচেয়ে নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং যুক্তিযুক্ত উপায়।” তিনি আরও জানান, সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়বে, তাদের জন্য ভ্রমণ ব্যয় বহন করছে সরকার।

ডিএইচএস বলছে, জোরপূর্বক বিতারণের তুলনায় স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের খরচ অনেক কম। বর্তমানে একজন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক, নজরদারি ও জোরপূর্বক বিতাড়নের গড় ব্যয় প্রায় ১৭ হাজার ডলার।

২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন লক্ষাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসনের সংখ্যা বাইডেন প্রশাসনের সময়ের তুলনায় কম। ডিএইচএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন ১ লাখ ৫২ হাজার অভিবাসীকে নির্বাসিত করেছে, যেখানে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে বাইডেন প্রশাসন নির্বাসিত করেছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার জনকে।

এছাড়া, অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে—তাদের আইনি মর্যাদা বাতিল, গুয়ানতানামো বে বা এল সালভাদরের কারাগারে পাঠানোর মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে—ট্রাম্প প্রশাসন তাদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প এই ভাতা কর্মসূচির আভাস দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “যদি তারা উপযুক্ত হয় এবং আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে চাই, তবে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব।” যদিও স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগকারীদের ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে বলে জানানো হয়েছে, তবে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

সূত্র: আলজাজিরা