গাজায় স্থায়ী দখল প্রতিষ্ঠার পথে ইসরায়েল

সংগৃহীত

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে।গতকাল সোমবার (৫ মে) এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, গাজার যে অংশগুলো ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী দখল করেছে, সেখান থেকে তারা আর সরে যাবে না। বরং সেনারা ওইসব এলাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজনে স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, এখন থেকে সেনারা গাজায় ঢুকে শুধু অভিযান চালিয়ে বেরিয়ে যাবে না, তারা সেখানেই থাকবে। পাশাপাশি গাজায় হামলার মাত্রা আরও বাড়ানোর হুমকি দেন তিনি।

রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত গাজার এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এসব জায়গা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে নজরদারি টাওয়ার ও চৌকি স্থাপন করা হয়েছে, যেগুলোকে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের পরিকল্পনা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে।

গত রোববার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাধারণ জনগণকে দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং নিশ্চিত করা হবে যাতে ত্রাণসামগ্রী হামাসের হাতে না পড়ে।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে বড় পরিসরে হামলা শুরু হলে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাতে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। তবে এই কাজ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা নয়, বরং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করবে, যারা গাজার প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেবে। এ প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি যুক্ত থাকবে না।

 

যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও গাজায় স্থায়ীভাবে সেনা অবস্থানের ইচ্ছা এতদিন প্রকাশ করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এখন নেতানিয়াহুর সরকার যে রূপরেখা তুলে ধরছে, তা নিয়ে সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

নেতানিয়াহু বলেন, যখন হামলার মাত্রা বাড়ানো হবে, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য তাদের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হবে।