ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ৫ মে, ২০২৫ তারিখে ইয়েমেনের হোডেইদা বন্দরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে করা হয়। হামলায় প্রায় ২০টি যুদ্ধবিমান অংশগ্রহণ করে এবং ৫০টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। হোডেইদা বন্দর ও পাশের বাজিল শহরের সিমেন্ট কারখানাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে, হোডেইদা বন্দর হুতি বিদ্রোহীদের কাছে ইরান থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাজিলের সিমেন্ট কারখানা হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।

হামলার পর, ইয়েমেনের হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, বাজিল সিমেন্ট কারখানায় হামলায় কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছে। তবে, প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আরও সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে এবং হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এদিকে, হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে যতক্ষণ না পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ না হয়। তারা ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে।

এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।