ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ মে, বুধবার, দেশজুড়ে সিভিল ডিফেন্স মহড়া পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। এই মহড়ার উদ্দেশ্য বিমান হামলার সতর্কতা, ব্ল্যাকআউট অনুশীলন, নাগরিক সুরক্ষা প্রশিক্ষণ এবং জরুরি উদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এই পদক্ষেপটি ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নেওয়া হয়েছে।

ভারতের এই মহড়ার নির্দেশ এমন এক সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শন করতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে । ভারতের এই মহড়া অনেকের কাছে রাজনৈতিক প্রদর্শন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই অঞ্চলের উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই ধরনের মহড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, ভারতের উচিত হবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সংযত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে করে সবার জন্য নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।