২০২৫ সালের ৫ মে, সোমবার, ইসরায়েল একযোগে গাজা, ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় গাজায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার অধিকাংশ জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ছয়জন আহত হয়। ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দর ও বাজিল কংক্রিট কারখানায় হামলা চালায়, যা হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক অবকাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত। এই হামলায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে।

লেবানন ও সিরিয়ায়, ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। লেবাননের জান্তা ও শারা পাহাড় এলাকায় এবং সিরিয়ার সারঘায়া শহরে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই সামগ্রিক হামলা ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা ও কৌশলগত পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা গাজা, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায় একযোগে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। তবে, এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে, যা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।