যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদলের ঘোষণা দিয়েছেন

মিশিগানে এয়ার ন্যাশনাল গার্ড ঘাঁটিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ছবি: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদলের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি চার-তারকা জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের সংখ্যা ২০% এবং সামগ্রিকভাবে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের সংখ্যা ১০% কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই উদ্যোগকে তিনি “Less Generals, More GIs” নীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যার উদ্দেশ্য হলো সামরিক বাহিনীর কার্যকারিতা ও কৌশলগত প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা

হেগসেথের এই পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেটি এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছেতিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই ছাঁটাইগুলো সতর্কভাবে হলেও দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে এবং এটি কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নয়

এই সিদ্ধান্তের পেছনে হেগসেথের যুক্তি হলো, অতিরিক্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংখ্যা সামরিক বাহিনীর কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে এবং বাজেটের অপচয় ঘটাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১৭ জন চার- ও পাঁচ-তারকা জেনারেল ছিল, অথচ বর্তমানে এই সংখ্যা ৩৭

তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। সিনেটর জ্যাক রিড এই ছাঁটাইয়ের সমালোচনা করে বলেছেন, “আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসারদের পদ ছাঁটাই কোনোভাবে ‘দক্ষতা’ তৈরি করবে না, বরং সামরিক বাহিনীকে বিপর্যস্ত করতে পারে”

এই ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি হেগসেথ পেন্টাগনের বাজেট পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিয়েছেন, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ৮% করে কাটছাঁট করার পরিকল্পনা রয়েছেএই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি সামরিক বাহিনীর কার্যকারিতা বাড়াতে চান।

এই পরিবর্তনগুলো পেন্টাগনের ইতিহাসে অন্যতম বড় রদবদল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ কাঠামো ও কার্যকারিতায় গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।