ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়া বা ‘মক ড্রিল’। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আগামী ৭ মে ২৭টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি স্থানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এর অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় একযোগে মক ড্রিল চালানো হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো— যুদ্ধকালীন বা জরুরি পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন ও প্রস্তুত করা। বিশেষ করে আচমকা বিমান হামলা, ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি কিংবা বোমা বিস্ফোরণের মতো সম্ভাব্য ঝুঁকিতে কিভাবে জীবন রক্ষা করা যায়, তা শেখানো হচ্ছে।

মহড়ায় নাগরিকদের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে রয়েছে— সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি, জরুরি অবস্থায় দ্রুত এলাকা ফাঁকা করার কৌশল, অন্ধকারে কীভাবে চলাফেরা করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে, সেই বিষয়ে বাস্তব অনুশীলন। এ ছাড়া, প্রতিটি এলাকায় বাংকার, গর্ত ও ট্রেঞ্চ পরিষ্কার ও প্রস্তুত রাখা এবং সেগুলো ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গত রবিবার (৫ মে) রাতে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্ল্যাকআউট ড্রিল পরিচালনা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া হয়— ওই সময় যেন কেউ কোনো আলোর উৎস ব্যবহার না করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে চলতেই এই ধরনের ড্রিলের আয়োজন করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব মহড়া শুধু প্রতীকী নয়, বরং একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ বা সন্ত্রাসী হামলার বাস্তব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়েই আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় দেশজুড়ে এমন বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়ার আয়োজন করেছিল ভারত। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক পর আবারো এমন জাতীয় পর্যায়ের মহড়া নতুন করে উদ্বেগের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।