অসমাপ্ত গল্পের ভার: 'তুমি বেঁচে থাকবে, আমার গল্পটি বলো'

ফিলিস্তিনের কবি রিফাত আলারি

ফিলিস্তিনের কবি রিফাত আলারির এবং মোসাব আবু তোহা—এই দুই কবির গল্প সত্যি এক গভীর ও প্রগাঢ় মানবিক গল্প। আলারিরের শেষ কবিতাটি যেন তার জীবন ও সংগ্রামের এক প্রতিচ্ছবি, যেখানে তিনি মৃত্যুর পরেও তার গল্প বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেছেন। তার কবিতার পঙক্তি, “আমি যদি মরেই যাই / তুমি বেঁচে থাকবে / আমার গল্পটি বলো / যদি মরেই যাই / এতে কিছু আশা ফিরে আসুক / নতুন এক উপাখ্যান হোক।” এর মধ্যে এক গভীর দুঃখবোধ এবং সংগ্রামের অমরত্ব রয়েছে, যেখানে ব্যক্তি মৃত্যুও শেষ নয়, বরং তার কাহিনীর মাধ্যমে একটি নতুন ধারার জন্ম হয়।

রিফাত আলারির গাজার যে পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করেছেন এবং মারা গেছেন, তা যে কতটা ট্র্যাজিক এবং নির্যাতিত, তা কেবল তার কবিতার মধ্যে নয়, বরং বাস্তবতার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। গাজা শহরের প্রতি তার প্রেম, শোক, বিদ্রোহ—সবকিছুই কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে গিয়েছিল।

মোসাব আবু তোহার পুলিৎজার পুরস্কার জয়েও ফিলিস্তিনের বিপর্যস্ত মানুষের অবস্থা এবং সংগ্রামের সত্য চিত্র উঠে এসেছে। তার লেখার মধ্যে গাজার বাস্তবতাকে তুলে ধরে, যা কেবল ঐতিহাসিক নয়, বরং মানবিকতা, বেদনা ও ন্যায়ের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে।

এগুলো সত্যি কোনো দেশ কিংবা জাতির গল্প নয়, বরং মানবতার গল্প, যেখানে একজন কবি বা লেখক তার জাতির সংকটকে নিজের অনুভূতি, অস্তিত্ব, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে তুলে ধরেন। রিফাত আলারিরের মৃত্যুর পরেও তার কবিতা এবং সংগ্রাম মনে থাকবে, যেমন মোসাব আবু তোহার কাজও গাজার জনগণের সত্য বাঁচিয়ে রেখেছে।