হুতিদের ওপর হামলা বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের

সংগৃহীত

ইসরায়েল ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আরও কয়েকটি কৌশলগত সামরিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েল নিজেদের শক্ত অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তবে হুতি বিদ্রোহীরা এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, হুতি গোষ্ঠী যদি তাদের সামুদ্রিক হামলা বন্ধ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ রাখবে। (সূত্র: রয়টার্স)

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, যা বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে প্রতিবেশী সৌদি আরব ও ইরান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলকে একটি বড় সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইয়েমেনের চলমান সঙ্কট আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে এবং মানবিক বিপর্যয় আরও গভীরতর হচ্ছে।

জাতিসংঘ এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে ইয়েমেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে। তাদের মতে, সহিংসতা বাড়তে থাকলে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদি উভয় পক্ষ আলোচনায় বসে, তাহলে ইয়েমেন সংকট সমাধানের পথে অগ্রগতি সম্ভব।