কাশ্মীর হামলা নিয়ে সরকারের নীরবতায় বিতর্ক

সংগৃহীত

কাশ্মীরের পবিত্র ভূমিতে যখন নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে, তখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিরব থাকেন—নেই কোনো অনুশোচনার স্বর। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলায় বহু মানুষ নিহত হলেও মোদি রাজনীতির ব্যস্ততায় সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতেও আগ্রহ দেখাননি। জানা গেছে, হামলার আগেই মোদির কাছে গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি সতর্কবার্তা পৌঁছেছিল, তবু কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা জোরদার করেনি, বা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি প্রাণহানির পরও সরকার নীরবতা বজায় রেখেছে।

মোদি সরকারের এই গাফিলতি, ব্যর্থতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুপ থাকার কঠোর সমালোচনা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সাংবাদিক করণ থাপারের সঙ্গে ‘দ্য ওয়্যার’-এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মোদির উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। সত্যপাল মালিক অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে স্পষ্ট গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে হামলার আশঙ্কা রয়েছে, তবুও সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি জানান, কাশ্মীরের এক অতি জনপ্রিয় স্থানে দুই হাজারের বেশি মানুষ থাকলেও সেখানে একজন সৈনিক পর্যন্ত মোতায়েন ছিল না। তিনি এই ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেছেন।

এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সদর দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খওজা আসিফ এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সঙ্গীদের সীমান্ত পরিস্থিতি, ভারতের সম্ভাব্য হুমকি এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। শাহবাজ শরিফ আইএসআই’র পেশাদারিত্ব ও কৌশলগত ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, পাকিস্তান তার সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বৈঠকে সামরিক প্রস্তুতি আরও জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

 

এএফএম