বিশ্ববাজারে তেলের দামে সাময়িক ঊর্ধ্বগতি

সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে টানা ছয়দিনের দরপতনের পর আবারও কিছুটা তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে, আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম উঠে এসেছে প্রায় ৫৮ ডলারে, যা বিগত চার বছরে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, এই সাময়িক ঊর্ধ্বগতি মূলত তীব্র পতনের পর প্রযুক্তিগতভাবে বাজারের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া এবং সরবরাহ কিছুটা কমার ইঙ্গিত থেকে এসেছে। সূত্র: গালফ নিউজ।

চীনের লম্বা ছুটি শেষে বাজার খুলে যাওয়ায় বৈশ্বিক লেনদেনে কিছুটা ভারসাম্য ফিরে এসেছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিক্রির কারণে বাজারের প্রযুক্তিগত সূচকগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্মিয়ান বেসিনে ডায়মন্ডব্যাক এনার্জি নামের বৃহৎ একটি স্বাধীন তেল কোম্পানি জানিয়েছে, তারা তাদের বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমাচ্ছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশজুড়ে স্থলভিত্তিক তেল রিগের সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমতে পারে বলে তারা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এতে সরবরাহ হ্রাস পেয়ে বাজারে কিছুটা ভারসাম্য ফিরে আসবে।

অন্যদিকে, জুন থেকে উৎপাদন বাড়ানোর পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও এর প্রভাব ইতিমধ্যে বাজারে দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সৌদি আরবও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি নির্ধারিত কোটার বাইরে গিয়ে উৎপাদন বাড়ে, তাহলে তারাও তাদের উৎপাদন বাড়াতে পারে।

বর্তমানে বাজারের মূল দৃষ্টি চাহিদার দিকে, যা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, চীনের ওপর শুল্ক কিছুটা শিথিল করা হতে পারে, যদিও কোনো বৈঠকের সময়সূচি এখনো নির্ধারিত হয়নি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি শুধু একটি সাময়িক স্বস্তি— বাজার যেন একটু শ্বাস নিচ্ছে মাত্র। চাহিদা প্রকৃতভাবে পুনরুদ্ধার না হলে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা কঠিন।

 

এএফএম