হামাসের জিম্মিদশা থেকে ফিরে নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার  ইসরায়েলি  তরুণী

হামাসের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম।

হামাসের হাতে ৫৪ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তি পাওয়া ২২ বছর বয়সী ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, মুক্তির পর তেল আবিবে নিজের বাসায় এক সুপরিচিত ফিটনেস প্রশিক্ষকের দ্বারা তিনি মাদক প্রয়োগ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

মিয়া জানান, ওই প্রশিক্ষকের সঙ্গে তিনটি সেশনের পর তিনি তাকে হলিউডের এক প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন, যিনি তার জীবনের গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে আগ্রহী। প্রথম সাক্ষাৎ নির্ধারিত হোটেলে প্রযোজক না আসায়, দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তার বাসায় আয়োজন করা হয়। সেদিন প্রশিক্ষক নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর এসে মিয়ার বন্ধুকে চলে যেতে বলেন। এরপর মিয়া আংশিক স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন এবং পরে শরীরে ধর্ষণের আলামত দেখতে পান।

মিয়া বলেন, "আমার শরীর সবকিছু অনুভব করেছে, কিন্তু আমি জানি না কী ঘটেছে।" তিনি আরও জানান, ঘটনার তিন দিন পর তিনি শারীরিক অনুভূতির সঙ্গে চেতনার সংযোগ ঘটাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এবং চিকিৎসা পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

প্রশিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার আইনজীবী দাবি করেছেন, ঘটনার দুই দিন পর মিয়া আবারও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মিয়া জানান, তখনও তিনি ঘটনার মানসিক প্রভাব পুরোপুরি বুঝতে পারেননি।

মিয়া বলেন, "এই ঘটনা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, জিম্মি হওয়ার আগে, জিম্মি থাকার সময়। আর তা ঘটেছে আমার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায়, আমার বাসায়।"

এই ঘটনার পর আরও একজন নারী ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়া শেমের সাহসিকতা এবং তার অভিজ্ঞতা প্রকাশের সিদ্ধান্ত যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।