পাকিস্তানের পাল্টা জবাবে জম্মু ও কাশ্মিরে ৩ জন নিহত ও ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করার দাবি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা মারাত্মক রূপ নিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।

 

২০২৫ সালের ৬ মে রাতে, ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নয়টি স্থানে বিমান হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এই হামলাগুলো জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, যারা ২২ এপ্রিল কাশ্মিরে ২৬ জন হিন্দু পর্যটক হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

 

পাকিস্তান এই হামলাকে "অঘোষিত যুদ্ধ" আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতীয় হামলায় অন্তত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে।

 

হামলার পর, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র গোলাগুলি ও কামান হামলা শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং দ্রুত উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

পাকিস্তান পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং হাসপাতাল ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শ্রীনগর বিমানবন্দর বন্ধ করেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে, যাতে করে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে না পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।