পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই প্রতিক্রিয়া এসেছে ভারতের "অপারেশন সিন্দুর" নামক সামরিক অভিযানের পর, যা ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জবাবে পরিচালিত হয়েছিল।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে তারা তিনটি রাফাল, একটি সু-৩০এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এছাড়াও, তারা একটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে। এই হামলাগুলি মূলত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ধুনডিয়াল সেক্টরে সংঘটিত হয়েছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের এই দাবিগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মিরে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ এই সংঘাত দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে আরও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

বর্তমানে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং উভয় পক্ষই সামরিক প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।