যুদ্ধকালীন সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষ
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং এর প্রেক্ষিতে ভারতের সাধারণ মানুষ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ, ৭ মে ২০২৫, ভারতজুড়ে 'অপারেশন অভ্যাস' নামে একটি ব্যাপক সিভিল ডিফেন্স মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রথম এত বড় পরিসরে আয়োজন।
মহড়ার মূল বৈশিষ্ট্য
-
সারাদেশব্যাপী অংশগ্রহণ: এই মহড়া ২৪৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, হায়দরাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত।
-
ব্ল্যাকআউট ও সাইরেন: দিল্লিতে ৬০টি এয়ার রেইড সাইরেন বাজিয়ে মহড়া শুরু হয়েছে। চণ্ডীগড়ে রাত ৭:৩০ থেকে ৭:৪০ পর্যন্ত ১০ মিনিটের ব্ল্যাকআউট মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
-
সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার অংশগ্রহণ: পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম, এনসিসি, এনএসএস, হোম গার্ডস, এবং সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকরা মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন।
-
সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণ: মানুষকে শেখানো হচ্ছে কিভাবে বিমান হামলার সাইরেন শুনলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে, কোথায় লুকাতে হবে, এবং জরুরি প্রয়োজনে কীভাবে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে।
২২ এপ্রিল ২০২৫-এ কাশ্মীরের পাহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়, যার মধ্যে রয়েছে ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার, এবং সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বৃদ্ধি।
নাগরিকদের জন্য নির্দেশনা
-
সাইরেন শুনলে নিকটস্থ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
-
ব্ল্যাকআউটের সময় আলো নিভিয়ে দিন এবং জানালা ঢেকে দিন।
-
সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং গুজব এড়িয়ে চলুন।
এই মহড়ার মাধ্যমে ভারত সরকার সাধারণ জনগণকে সম্ভাব্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করতে চায়, যাতে জরুরি অবস্থায় সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।