পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ইউরোপ-এশিয়া রুটে দীর্ঘ হচ্ছে বিমানযাত্রা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার ফলে আন্তর্জাতিক আকাশপথে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। ভারতের "অপারেশন সিন্দুর" অভিযানের পর, পাকিস্তান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়, যার ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন বা বাতিল করতে বাধ্য হয়।

এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিক্রিয়া

  • লুফথানজা ও এয়ার ফ্রান্স পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে ফ্লাইটের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জ্বালানি খরচ বেড়েছে।

  • থাই এয়ারওয়েজ বুধবার সকালে ঘোষণা করে যে, তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার গন্তব্যে ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করছে।

  • সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও স্কুট তাদের ফ্লাইটগুলো নতুন রুটে পরিচালনা করছে, যার ফলে কিছু ফ্লাইটে সামান্য বিলম্ব হতে পারে।

  • কাতার এয়ারওয়েজ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য পাকিস্তানে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে।

  • পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) ১২ ঘণ্টার জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। 

 

এই উত্তেজনার ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলির কারণে উভয় পক্ষেই বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। 

 

এই পরিস্থিতির কারণে ঢাকা অভিমুখী কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, যেমন তুর্কিশ এয়ারলাইন্স, জাজিরা এয়ারওয়েজ এবং কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটগুলো যথাক্রমে মাস্কাট, দুবাই ও কুয়েত সিটিতে স্থানান্তরিত হয়েছে।

 

যাত্রীদেরকে তাদের এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করে ফ্লাইটের সর্বশেষ তথ্য জেনে নিতে এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।