ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজিরবিহীন এক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার ফলে বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হামলার আগেই সর্তকবার্তা, এরপর ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ

মঙ্গলবার (৬ মে) স্থানীয় সময় সকালেই রাজধানী সানার বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে সর্তকবার্তা দেয় ইসরায়েল। এরপরই শুরু হয় বিমান হামলা। লক্ষ্যবস্তু করা হয় সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে, যেখানে মুহূর্তেই বিস্ফোরণে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। চোখে পড়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি যাত্রীবাহী বিমানের ধ্বংসাবশেষ, যা রানওয়ের এক প্রান্তে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বিমানবন্দরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসাথে একই সময়ে হামলা চালানো হয় সানার তিনটি জ্বালানি স্থাপনা ও তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে, যা হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা হিসেবে পরিচিত।

ইসরায়েলের দাবি: হুতিদের ড্রোন হামলার জবাব

ইসরায়েলি সামরিক সূত্র ও সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিমান হামলা ছিল প্রতিশোধমূলক। গত রোববার (৪ মে) হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালায়। সেই ঘটনার জবাব হিসেবেই ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব।

মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা

ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধ ও বহিরাগত সামরিক হস্তক্ষেপের মধ্যে এই হামলা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের এক বড় অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলের এমন সামরিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।